< لُوقا 16 >

وَقَالَ أَيْضًا لِتَلَامِيذِهِ: «كَانَ إِنْسَانٌ غَنِيٌّ لَهُ وَكِيلٌ، فَوُشِيَ بِهِ إِلَيْهِ بِأَنَّهُ يُبَذِّرُ أَمْوَالَهُ. ١ 1
যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “এক ধনী ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর দেওয়ান তাঁর ধনসম্পত্তি অপচয় করার অপরাধে অভিযুক্ত হল।
فَدَعَاهُ وَقَالَ لَهُ: مَا هَذَا ٱلَّذِي أَسْمَعُ عَنْكَ؟ أَعْطِ حِسَابَ وَكَالَتِكَ لِأَنَّكَ لَا تَقْدِرُ أَنْ تَكُونَ وَكِيلًا بَعْدُ. ٢ 2
তাই তিনি তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আমি তোমার সম্পর্কে এ কী কথা শুনছি? তোমার হিসেব পত্র দাখিল করো, কারণ তুমি আর কখনোই দেওয়ান থাকতে পারো না।’
فَقَالَ ٱلْوَكِيلُ فِي نَفْسِهِ: مَاذَا أَفْعَلُ؟ لِأَنَّ سَيِّدِي يَأْخُذُ مِنِّي ٱلْوَكَالَةَ. لَسْتُ أَسْتَطِيعُ أَنْ أَنْقُبَ، وَأَسْتَحِي أَنْ أَسْتَعْطِيَ. ٣ 3
“সেই দেওয়ান মনে মনে ভাবল, ‘আমি এখন কী করব? আমার মনিব আমার কাজ কেড়ে নিয়েছেন। মাটি কাটার মতো শারীরিক সামর্থ্য আমার নেই, ভিক্ষা করতেও আমার লজ্জা হয়—
قَدْ عَلِمْتُ مَاذَا أَفْعَلُ، حَتَّى إِذَا عُزِلْتُ عَنِ ٱلْوَكَالَةِ يَقْبَلُونِي فِي بُيُوتِهِمْ. ٤ 4
আমি এখানে কাজ হারালে লোকেরা যেন আমাকে তাদের বাড়িতে স্বাগত জানায়, এজন্য আমি জানি আমাকে কী করতে হবে।’
فَدَعَا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْ مَدْيُونِي سَيِّدِهِ، وَقَالَ لِلْأَوَّلِ: كَمْ عَلَيْكَ لِسَيِّدِي؟ ٥ 5
“তখন যারা যারা তার মনিবের ঋণী তাদের প্রত্যেককে সে ডেকে পাঠাল। সে প্রথমজনকে বলল, ‘আমার মনিবের কাছে তোমার ঋণ কত?’
فَقَالَ: مِئَةُ بَثِّ زَيْتٍ. فَقَالَ لَهُ: خُذْ صَكَّكَ وَٱجْلِسْ عَاجِلًا وَٱكْتُبْ خَمْسِينَ. ٦ 6
“সে উত্তর দিল, ‘তিন হাজার লিটার জলপাই তেল।’ “দেওয়ান তাকে বলল, ‘তোমার ঋণপত্র নাও, তাড়াতাড়ি বসো আর এখানে এক হাজার পাঁচশো লিটার লেখো।’
ثُمَّ قَالَ لِآخَرَ: وَأَنْتَ كَمْ عَلَيْكَ؟ فَقَالَ: مِئَةُ كُرِّ قَمْحٍ. فَقَالَ لَهُ: خُذْ صَكَّكَ وَٱكْتُبْ ثَمَانِينَ. ٧ 7
“তারপর সে দ্বিতীয়জনকে জিজ্ঞাসা করল, ‘আর তোমার ঋণ কত?’ “‘এক হাজার বস্তা গম,’ সে উত্তর দিল। “সে তাকে বলল, ‘তোমার ঋণপত্র নাও আর আটশো বস্তা লেখো।’
فَمَدَحَ ٱلسَّيِّدُ وَكِيلَ ٱلظُّلْمِ إِذْ بِحِكْمَةٍ فَعَلَ، لِأَنَّ أَبْنَاءَ هَذَا ٱلدَّهْرِ أَحْكَمُ مِنْ أَبْنَاءِ ٱلنُّورِ فِي جِيلِهِمْ. (aiōn g165) ٨ 8
“সেই অসাধু দেওয়ান বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করেছিল বলে তাঁর মনিব তার প্রশংসা করলেন। কারণ, এই যুগের জাগতিক মনোভাব সম্পন্ন লোকেরা তাদের সমকালীন আলোকপ্রাপ্ত লোকেদের থেকে বেশি বিচক্ষণ। (aiōn g165)
وَأَنَا أَقُولُ لَكُمُ: ٱصْنَعُوا لَكُمْ أَصْدِقَاءَ بِمَالِ ٱلظُّلْمِ، حَتَّى إِذَا فَنِيتُمْ يَقْبَلُونَكُمْ فِي ٱلْمَظَالِّ ٱلْأَبَدِيَّةِ. (aiōnios g166) ٩ 9
আমি তোমাদের বলছি, নিজেদের জন্য বন্ধুত্ব গড়ে তোলার উদ্দেশে জাগতিক সম্পদ ব্যবহার করো, যেন সব ধন নিঃশেষ হয়ে গেলে তোমাদের অনন্ত আবাসে স্বাগত জানানো হয়। (aiōnios g166)
اَلْأَمِينُ فِي ٱلْقَلِيلِ أَمِينٌ أَيْضًا فِي ٱلْكَثِيرِ، وَٱلظَّالِمُ فِي ٱلْقَلِيلِ ظَالِمٌ أَيْضًا فِي ٱلْكَثِيرِ. ١٠ 10
“অল্প বিষয়ে যার উপরে নির্ভর করা যায়, বহু বিষয়েও তার উপর নির্ভর করা যায়। আবার অতি অল্প বিষয়ে যে অসৎ, বহু বিষয়েও সে অসৎ।
فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا أُمَنَاءَ فِي مَالِ ٱلظُّلْمِ، فَمَنْ يَأْتَمِنُكُمْ عَلَى ٱلْحَقِّ؟ ١١ 11
তাই, জাগতিক ধনসম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তোমরা যদি বিশ্বাসযোগ্য না হও, তাহলে কে বিশ্বাস করে তোমাদের হাতে প্রকৃত সম্পদ গচ্ছিত রাখবে?
وَإِنْ لَمْ تَكُونُوا أُمَنَاءَ فِي مَا هُوَ لِلْغَيْرِ، فَمَنْ يُعْطِيكُمْ مَا هُوَ لَكُمْ؟ ١٢ 12
আর অন্যের সম্পত্তি সম্পর্কে যদি তোমরা বিশ্বস্ত না হও, তবে তোমাদের নিজেদের সম্পত্তির দায়িত্ব তোমাদের হাতে কে ছেড়ে দেবে?
لَا يَقْدِرُ خَادِمٌ أَنْ يَخْدِمَ سَيِّدَيْنِ، لِأَنَّهُ إِمَّا أَنْ يُبْغِضَ ٱلْوَاحِدَ وَيُحِبَّ ٱلْآخَرَ، أَوْ يُلَازِمَ ٱلْوَاحِدَ وَيَحْتَقِرَ ٱلْآخَرَ. لَا تَقْدِرُونَ أَنْ تَخْدِمُوا ٱللهَ وَٱلْمَالَ». ١٣ 13
“কেউই দুজন মনিবের সেবা করতে পারে না। সে হয় একজনকে ঘৃণা করে অপরজনকে ভালোবাসবে, নয়তো সে একজনের অনুগত হয়ে অপরজনকে অবজ্ঞা করবে। তোমরা ঈশ্বর ও অর্থ, এই দুয়ের সেবা করতে পারো না।”
وَكَانَ ٱلْفَرِّيسِيُّونَ أَيْضًا يَسْمَعُونَ هَذَا كُلَّهُ، وَهُمْ مُحِبُّونَ لِلْمَالِ، فَٱسْتَهْزَأُوا بِهِ. ١٤ 14
এই সমস্ত কথা শুনে অর্থলোভী ফরিশীরা যীশুকে ব্যঙ্গ করতে লাগল।
فَقَالَ لَهُمْ: «أَنْتُمُ ٱلَّذِينَ تُبَرِّرُونَ أَنْفُسَكُمْ قُدَّامَ ٱلنَّاسِ! وَلَكِنَّ ٱللهَ يَعْرِفُ قُلُوبَكُمْ. إِنَّ ٱلْمُسْتَعْلِيَ عِنْدَ ٱلنَّاسِ هُوَ رِجْسٌ قُدَّامَ ٱللهِ. ١٥ 15
তিনি তাদের বললেন, “তোমরাই সেই লোক, যারা মানুষের চোখে নিজেদের ন্যায়পরায়ণ বলে প্রতিপন্ন করতে চাও, কিন্তু ঈশ্বর তোমাদের হৃদয় জানেন। মানুষের কাছে যার মূল্য অপরিসীম, ঈশ্বরের দৃষ্টিতে তা ঘৃণ্য।
«كَانَ ٱلنَّامُوسُ وَٱلْأَنْبِيَاءُ إِلَى يُوحَنَّا. وَمِنْ ذَلِكَ ٱلْوَقْتِ يُبَشَّرُ بِمَلَكُوتِ ٱللهِ، وَكُلُّ وَاحِدٍ يَغْتَصِبُ نَفْسَهُ إِلَيْهِ. ١٦ 16
“যোহনের আমল পর্যন্ত বিধিবিধান ও ভাববাদীদের বাণী ঘোষিত হয়েছিল। সেই সময় থেকে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচারিত হয়ে আসছে এবং প্রত্যেকেই সেখানে সবলে প্রবেশ করছে।
وَلَكِنَّ زَوَالَ ٱلسَّمَاءِ وَٱلْأَرْضِ أَيْسَرُ مِنْ أَنْ تَسْقُطَ نُقْطَةٌ وَاحِدَةٌ مِنَ ٱلنَّامُوسِ. ١٧ 17
কিন্তু বিধানের একটি আঁচড়ও লোপ হওয়ার চেয়ে বরং আকাশ ও পৃথিবী বিলুপ্ত হওয়া সহজ।
كُلُّ مَنْ يُطَلِّقُ ٱمْرَأَتَهُ وَيَتَزَوَّجُ بِأُخْرَى يَزْنِي، وَكُلُّ مَنْ يَتَزَوَّجُ بِمُطَلَّقَةٍ مِنْ رَجُلٍ يَزْنِي. ١٨ 18
“যে নিজের স্ত্রীকে ত্যাগ করে অন্য নারীকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে এবং যে পুরুষ কোনও বিবাহবিচ্ছিন্ন নারীকে বিবাহ করে, সেও ব্যভিচার করে।
«كَانَ إِنْسَانٌ غَنِيٌّ وَكَانَ يَلْبَسُ ٱلأُرْجُوانُ وَٱلْبَزَّ وَهُوَ يَتَنَعَّمُ كُلَّ يَوْمٍ مُتَرَفِّهًا. ١٩ 19
“এক ধনী ব্যক্তি ছিল। সে বেগুনি রংয়ের মিহি মসিনার পোশাক পরত। প্রতিদিন সে বিলাসবহুল জীবনযাপন করত।
وَكَانَ مِسْكِينٌ ٱسْمُهُ لِعَازَرُ، ٱلَّذِي طُرِحَ عِنْدَ بَابِهِ مَضْرُوبًا بِٱلْقُرُوحِ، ٢٠ 20
তার বাড়ির প্রবেশপথে এক ভিখারি সর্বাঙ্গে ক্ষত নিয়ে শুয়ে থাকত। তার নাম ছিল লাসার।
وَيَشْتَهِي أَنْ يَشْبَعَ مِنَ ٱلْفُتَاتِ ٱلسَّاقِطِ مِنْ مَائِدَةِ ٱلْغَنِيِّ، بَلْ كَانَتِ ٱلْكِلَابُ تَأْتِي وَتَلْحَسُ قُرُوحَهُ. ٢١ 21
ধনী ব্যক্তির টেবিল থেকে যা কিছু উচ্ছিষ্ট পড়ত, তাই সে খেতে চাইত। এমনকি, কুকুরেরা এসেও তার ঘা চাটতো।
فَمَاتَ ٱلْمِسْكِينُ وَحَمَلَتْهُ ٱلْمَلَائِكَةُ إِلَى حِضْنِ إِبْرَاهِيمَ. وَمَاتَ ٱلْغَنِيُّ أَيْضًا وَدُفِنَ، ٢٢ 22
“কালক্রমে ভিখারিটির মৃত্যু হল। স্বর্গদূতেরা তাকে নিয়ে এল অব্রাহামের পাশে। পরে ধনী ব্যক্তির মৃত্যু হলে, তাকেও সমাধি দেওয়া হল।
فَرَفَعَ عَيْنَيْهِ فِي ٱلجَحِيمِ وَهُوَ فِي ٱلْعَذَابِ، وَرَأَى إِبْرَاهِيمَ مِنْ بَعِيدٍ وَلِعَازَرَ فِي حِضْنِهِ، (Hadēs g86) ٢٣ 23
সে পাতালে নিদারুণ যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছিল। সেখান থেকে সে দৃষ্টি ঊর্ধ্বে তুলে দূরে অব্রাহামের পাশে লাসারকে দেখতে পেল। (Hadēs g86)
فَنَادَى وَقَالَ: يَا أَبِي إِبْرَاهِيمَ، ٱرْحَمْنِي، وَأَرْسِلْ لِعَازَرَ لِيَبُلَّ طَرَفَ إِصْبِعِهِ بِمَاءٍ وَيُبَرِّدَ لِسَانِي، لِأَنِّي مُعَذَّبٌ فِي هَذَا ٱللَّهِيبِ. ٢٤ 24
তাই সে তাঁকে ডাকল, ‘পিতা অব্রাহাম, আমার প্রতি কৃপা করুন; লাসারকে পাঠিয়ে দিন, সে যেন আঙুলের ডগায় জল নিয়ে আমার জিভ ঠান্ডা করে দেয়। কারণ এই আগুনে আমি ভীষণ যন্ত্রণা পাচ্ছি।’
فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: يَا ٱبْنِي، ٱذْكُرْ أَنَّكَ ٱسْتَوْفَيْتَ خَيْرَاتِكَ فِي حَيَاتِكَ، وَكَذَلِكَ لِعَازَرُ ٱلْبَلَايَا. وَٱلْآنَ هُوَ يَتَعَزَّى وَأَنْتَ تَتَعَذَّبُ. ٢٥ 25
“কিন্তু অব্রাহাম উত্তর দিলেন, ‘বৎস, স্মরণ করে দেখো, তোমার জীবনকালে তুমি সব উৎকৃষ্ট জিনিস পেয়েছ, লাসার পেয়েছে সব মন্দ জিনিস। কিন্তু এখন সে এখানে লাভ করছে সান্ত্বনা, আর তুমি পাচ্ছ যন্ত্রণা।
وَفَوْقَ هَذَا كُلِّهِ، بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ هُوَّةٌ عَظِيمَةٌ قَدْ أُثْبِتَتْ، حَتَّى إِنَّ ٱلَّذِينَ يُرِيدُونَ ٱلْعُبُورَ مِنْ هَهُنَا إِلَيْكُمْ لَا يَقْدِرُونَ، وَلَا ٱلَّذِينَ مِنْ هُنَاكَ يَجْتَازُونَ إِلَيْنَا. ٢٦ 26
আর তা ছাড়া, তোমার ও আমাদের মধ্যে রয়েছে বিরাট এক ব্যবধান যাতে কেউ এখান থেকে তোমাদের কাছে যেতে চাইলেও যেতে পারে না বা কেউ ওখান থেকে পার হয়ে আমাদের কাছেও আসতে পারে না।’
فَقَالَ: أَسْأَلُكَ إِذًا، يَا أَبَتِ، أَنْ تُرْسِلَهُ إِلَى بَيْتِ أَبِي، ٢٧ 27
“সে উত্তর দিল, ‘তাহলে পিতা, আপনার কাছে অনুনয় করছি, লাসারকে আমার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিন,
لِأَنَّ لِي خَمْسَةَ إِخْوَةٍ، حَتَّى يَشْهَدَ لَهُمْ لِكَيْلَا يَأْتُوا هُمْ أَيْضًا إِلَى مَوْضِعِ ٱلْعَذَابِ هَذَا. ٢٨ 28
কারণ আমার পাঁচ ভাই আছে। সে গিয়ে তাদের সতর্ক করে দিক, যেন তারাও এই যন্ত্রণাময় স্থানে না এসে পড়ে।’
قَالَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ: عِنْدَهُمْ مُوسَى وَٱلْأَنْبِيَاءُ، لِيَسْمَعُوا مِنْهُمْ. ٢٩ 29
“অব্রাহাম উত্তর দিলেন, ‘তাদের জন্য আছেন মোশি ও ভাববাদীরা। তাদেরই কথায় তারা কর্ণপাত করুক।’
فَقَالَ: لَا، يَا أَبِي إِبْرَاهِيمَ، بَلْ إِذَا مَضَى إِلَيْهِمْ وَاحِدٌ مِنَ ٱلْأَمْوَاتِ يَتُوبُونَ. ٣٠ 30
“সে বলল, ‘না, পিতা অব্রাহাম, মৃতলোক থেকে কেউ যদি তাদের কাছে যায়, তাহলেই তারা মন পরিবর্তন করবে।’
فَقَالَ لَهُ: إِنْ كَانُوا لَا يَسْمَعُونَ مِنْ مُوسَى وَٱلْأَنْبِيَاءِ، وَلَا إِنْ قَامَ وَاحِدٌ مِنَ ٱلْأَمْوَاتِ يُصَدِّقُونَ». ٣١ 31
“তিনি তাকে বললেন, ‘তারা যদি মোশি ও ভাববাদীদের কথায় কর্ণপাত না করে, তাহলে মৃত্যুলোক থেকে উঠে কেউ গেলেও তারা তাকে বিশ্বাস করবে না।’”

< لُوقا 16 >