< প্রথম রাজাবলি 14 >

1 সেই দিন যারবিয়ামের ছেলে অবিয় অসুস্থ হয়ে পড়ল।
সেই সময় যারবিয়ামের ছেলে অবিয় অসুস্থ হয়ে পড়েছিল,
2 তখন যারবিয়াম নিজের স্ত্রীকে বললেন, “উঠ, তুমি এমন কাপড় পর যাতে তোমাকে যারবিয়ামের স্ত্রী বলে চেনা না যায়। তারপর তুমি শীলোতে যাও। ভাববাদী অহিয় সেখানে আছেন। তিনিই আমাকে বলেছিলেন যে, আমি এই লোকদের রাজা হব।
এবং যারবিয়াম তাঁর স্ত্রীকে বললেন, “যাও, ছদ্মবেশ ধারণ করো, যেন কেউ তোমাকে যারবিয়ামের স্ত্রী বলে চিনতে না পারে। পরে শীলোতে চলে যাও। সেখানে সেই ভাববাদী অহিয় আছেন—যিনি আমাকে বললেন যে আমি এই লোকজনের উপর রাজা হব।
3 তুমি সঙ্গে করে দশটা রুটি, কিছু পিঠা ও এক ভাঁড় মধু নিয়ে তাঁর কাছে যাও। ছেলেটির কি হবে তা তিনি তোমাকে বলে দেবেন।”
দশটি রুটি, কয়েকটি পিঠে ও এক বয়াম মধু সাথে নিয়ে তাঁর কাছে যাও। তিনি তোমাকে বলে দেবেন, ছেলেটির কী হবে।”
4 যারবিয়ামের স্ত্রী তাঁর কথামতই কাজ করলেন এবং শীলোতে অহিয়ের বাড়িতে গেলেন। তখন অহিয় চোখে দেখতে পেতেন না; কারণ বেশী বয়স হওয়ার জন্য তাঁর দেখবার শক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
তাই যারবিয়ামের কথানুসারেই তাঁর স্ত্রী কাজ করলেন এবং শীলোতে অহিয়র বাড়িতে চলে গেলেন। ইত্যবসরে অহিয় আবার চোখে দেখতে পেতেন না; বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে তাঁর দৃষ্টিশক্তি চলে গেল।
5 কিন্তু সদাপ্রভু অহিয়কে বলেছিলেন, “যারবিয়ামের স্ত্রী তোমার কাছে তার ছেলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে আসছে। ছেলেটির অসুখ হয়েছে। তুমি তার কথার এই এই উত্তর দেবে। এখানে এসে সে অন্য আর একজন স্ত্রীলোক বলে অপরিচিতের মত ভান করবে।”
কিন্তু সদাপ্রভু অহিয়কে বলে দিলেন, “যারবিয়ামের স্ত্রী তোমার কাছে তার ছেলের বিষয়ে জানতে আসছে, কারণ সে অসুস্থ আছে, এবং তুমি তাকে অমুক উত্তর দিয়ো। সে এখানে পৌঁছে এমন ভান করবে, যেন সে অন্য কেউ।”
6 তখন দরজার কাছে তাঁর পায়ের শব্দ শুনে অহিয় বললেন, “ভিতরে এস, যারবিয়ামের স্ত্রী। তুমি কেন অপরিচিতের মত ভান করছ? তোমাকে খারাপ খবর দেবার জন্য আমাকে বলা হয়েছে।
তাই অহিয় যখন দরজায় তাঁর পায়ের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন, তখন তিনি বলে উঠেছিলেন, “ওহে যারবিয়ামের স্ত্রী, ভিতরে এসো। এরকম ভান করছ কেন? খারাপ খবর শোনানোর জন্য আমাকে তোমার কাছে পাঠানো হয়েছে।
7 যাও, তুমি গিয়ে যারবিয়ামকে বল যে, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি লোকদের মধ্য থেকে তোমাকে উঁচুতে তুলেছি এবং আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের উপরে নেতা করেছি।
যাও, যারবিয়ামকে গিয়ে বলো যে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘আমি প্রজাসাধারণের মধ্যে থেকে তোমাকে তুলে এনে আমার প্রজা ইস্রায়েলের উপর রাজপদে বসিয়েছিলাম।
8 আমি দায়ূদের বংশ থেকে রাজ্য ছিঁড়ে নিয়ে তোমাকে দিয়েছি, কিন্তু তুমি আমার দাস দায়ূদের মত হও নি। দায়ূদ আমার আদেশ মেনে চলত এবং মনে প্রাণে আমার বাধ্য ছিল। আমার চোখে যা ঠিক সে কেবল তাই করত।
আমি দাউদ কুলের হাত থেকে রাজ্যটি ছিনিয়ে এনে তোমার হাতে তুলে দিয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমার দাস সেই দাউদের মতো হতে পারোনি, যে আমার আদেশ পালন করল ও মনপ্রাণ দিয়ে আমার অনুগামী হল, এবং শুধু সেইসব কাজই করল, যা আমার দৃষ্টিতে ন্যায্য।
9 তোমার আগে যারা ছিল তুমি তাদের চেয়েও বেশী খারাপ কাজ করেছ। তুমি নিজের জন্য দেব দেবতা বানিয়ে নিয়েছ আর ছাঁচে ঢেলে মূর্ত্তি তৈরী করেছ। তুমি আমাকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছ এবং আমাকে তোমার পিছনে ফেলে রেখেছ।
যারা তোমার আগে বেঁচে ছিল, তাদের সবার তুলনায় তুমিই সবচেয়ে বেশি মন্দ কাজ করেছ। তুমি নিজের জন্য অন্যান্য দেবদেবী—অর্থাৎ ধাতব প্রতিমা তৈরি করেছ; তুমি আমার ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছ ও আমার দিকে পিঠ ফিরিয়েছ।
10 ১০ এই জন্য আমি যারবিয়ামের বংশের উপর বিপদ নিয়ে আসব। তার বংশ থেকে প্রত্যেকটি পুরুষকে আমি শেষ করে দেব, সে দাস হোক বা স্বাধীন হোক। লোকে যেমন করে ঘুঁটে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলে তেমনি করে আমি যারবিয়ামের বংশকে একেবারে শেষ করে দেব।
“‘এজন্য আমি যারবিয়ামের কুলে সর্বনাশ ঘটাতে চলেছি। যারবিয়াম বংশে ইস্রায়েলের অবশিষ্ট এক-একটি পুরুষকে—তা সে ক্রীতদাসই হোক বা স্বাধীন, আমি শেষ করে দেব। যেভাবে মানুষ শেষ পর্যন্ত ঘুঁটে পোড়ায়, আমিও যারবিয়ামের কুলকে পুড়িয়ে ছাই করে দেব।
11 ১১ তার বংশের যে সব লোক শহরে মরবে তাদের খাবে কুকুরে আর যারা মাঠের মধ্যে মরবে তাদের খাবে পাখীতে। কারণ আমি সদাপ্রভুই এই কথা বলেছি।’
যারবিয়াম কুলের যে কেউ নগরে মারা যাবে, কুকুরেরা তাদের খেয়ে ফেলবে, এবং যারা গ্রামাঞ্চলে মারা যাবে, পাখিরা তাদের ঠুকরে ঠুকরে খাবে। সদাপ্রভুই একথা বলেছেন!’
12 ১২ সুতরাং তুমি উঠ, এখন বাড়ি ফিরে যাও। তুমি শহরে পা দেওয়া মাত্রই ছেলেটি মারা যাবে।
“আর তোমাকে বলছি, ঘরে ফিরে যাও। তুমি নগরে পা রাখামাত্র ছেলেটি মারা যাবে।
13 ১৩ ইস্রায়েলের সবাই তার জন্য শোক করতে করতে তাকে কবর দেবে। যারবিয়ামের নিজের লোকদের মধ্যে কেবল সেই কবর পাবে, কারণ যারবিয়ামের বংশে কেবলমাত্র সেই ছেলেটির মধ্যেই ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর প্রতি ভক্তি দেখতে পেয়েছেন।
ইস্রায়েলীরা সবাই তার জন্য শোকপ্রকাশ করবে ও তাকে কবর দেবে। যারবিয়াম কুলে একমাত্র তাকেই কবর দেওয়া হবে, কারণ যারবিয়াম কুলে একমাত্র এর মধ্যেই ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু কিছুটা হলেও সদ্ভাব দেখতে পেয়েছেন।
14 ১৪ সদাপ্রভু নিজের উদ্দেশ্যে ইস্রায়েলের লোকদের উপরে এমন এক জনকে রাজা করবেন যে যারবিয়ামের বংশকে একেবারে ধ্বংস করে দেবে। আজকেই সেই দিন, হ্যাঁ, এখনই।
“সদাপ্রভু নিজের জন্য ইস্রায়েলে এমন একজন রাজা উৎপন্ন করবেন, যে যারবিয়ামের পরিবারটিকে শেষ করে ফেলবে। এমনকি এখনই তা শুরু হয়ে গিয়েছে।
15 ১৫ সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে আঘাত করবেন, আর তাতে তা জলের মধ্যে দুলতে থাকা নল খাগড়ার মত হবে। যে দেশ তিনি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলেন সেই সুন্দর দেশ থেকে তিনি তাদের উপড়ে তুলে ফরাৎ (ইউফ্রেটিস) নদীর ওপারে ছড়িয়ে দেবেন, কারণ আশেরা মূর্ত্তি স্থাপন করে তারা সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছে।
আর সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে আঘাত করবেন, যেন তা জলের মধ্যে দুলতে থাকা নলখাগড়ার মতো হয়ে যায়। এই যে সুন্দর দেশটি তিনি তাদের পূর্বপুরুষদের দিলেন, সেখান থেকে তিনি ইস্রায়েলকে উৎখাত করবেন ও ইউফ্রেটিস নদীর ওপারে তাদের ইতস্তত ছড়িয়ে দেবেন, কারণ তারা আশেরার খুঁটি পুঁতে সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছে।
16 ১৬ যারবিয়াম নিজে যে সব পাপ করেছে এবং ইস্রায়েলীয়দের লোকদের দিয়ে করিয়েছে তার জন্য সদাপ্রভু তাদের ত্যাগ করবেন।”
আর যেহেতু যারবিয়াম নিজে পাপ করেছে ও ইস্রায়েলকে দিয়েও পাপ করিয়েছে, তাই তিনি ইস্রায়েলকে ত্যাগ করতে চলেছেন।”
17 ১৭ এর পর যারবিয়ামের স্ত্রী উঠলেন এবং তির্সা শহরে গিয়ে উপস্থিত হলেন। তিনি বাড়ীর দরজার চৌকাঠে পা দেওয়া মাত্রই ছেলেটি মারা গেল।
তখন যারবিয়ামের স্ত্রী উঠে সেখান থেকে তির্সাতে চলে গেলেন। ঠিক যখন তিনি বাড়ির চৌকাঠে পা দিলেন, ছেলেটি মারা গেল।
18 ১৮ সদাপ্রভু নিজের দাস ভাববাদী অহিয়ের মধ্য দিয়ে যেমন যে বাক্য বলেছিলেন তেমনই ইস্রায়েলের সমস্ত লোক ছেলেটির জন্য শোক করতে করতে তাকে কবর দিল।
সদাপ্রভু তাঁর দাস ভাববাদী অহিয়ের মাধ্যমে যে কথা বললেন, ঠিক সেইমতো তারা ছেলেটিকে কবর দিয়েছিল ও তার জন্য শোকপ্রকাশ করল।
19 ১৯ যারবিয়ামের অন্যান্য কাজ, তাঁর সব যুদ্ধ এবং রাজত্ব করবার কথা “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
যারবিয়ামের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, তাঁর যুদ্ধবিগ্রহ ও তাঁর শাসনব্যবস্থা, সেসব ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা আছে।
20 ২০ বাইশ বছর রাজত্ব করবার পর তিনি তাঁর পূর্বপরুষদের সঙ্গে নিদ্রা গেলেন এবং তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে নাদব রাজা হলেন।
তিনি বাইশ বছর রাজত্ব করলেন এবং পরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন। তাঁর ছেলে নাদব রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
21 ২১ এদিকে যিহূদা দেশে শলোমনের ছেলে রহবিয়াম রাজত্ব করলেন। তিনি যখন রাজত্ব করতে শুরু করেন তখন তাঁর বয়স ছিল একচল্লিশ। ইস্রায়েলের গোষ্ঠীগুলোর সমস্ত জায়গার মধ্য থেকে যে শহরটা সদাপ্রভু নিজের বাসস্থান হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন সেই যিরূশালেম শহরে রহবিয়াম সতেরো বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল নয়মা; তিনি জাতিতে ছিলেন একজন অম্মোনীয়।
শলোমনের ছেলে রহবিয়াম যিহূদায় রাজা হলেন। তিনি একচল্লিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং সদাপ্রভু নিজের নাম স্থাপন করার জন্য ইস্রায়েলের সব বংশের মধ্যে থেকে আলাদা করে যে নগরটিকে মনোনীত করলেন, সেই জেরুশালেমে তিনি সতেরো বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম নয়মা; তিনি ছিলেন একজন অম্মোনীয়া।
22 ২২ সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ যিহূদা লোকেরা তাই করতে লাগল। তাদের পূর্বপুরুষরা যা করেছে তার চেয়ে তাদের পাপের মধ্য দিয়ে তারা সদাপ্রভুর অন্তরের জ্বালা আরও বেশী করে জাগিয়ে তুলতো।
সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যিহূদা মন্দ কাজ করল। তাদের করা পাপকাজের দ্বারা তারা তাদের আগে যারা বেঁচে ছিল, সেইসব লোকের চেয়েও বেশি পরিমাণে তাঁর জ্বলন্ত ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিল।
23 ২৩ এছাড়া তারা নিজেদের জন্য প্রত্যেকটি উঁচু পাহাড়ের উপরে ও প্রত্যেকটি ডালপালা ছড়ানো সবুজ গাছের নীচে উঁচু জায়গা ঠিক করেছিল এবং পবিত্র পাথর ও আশেরা খুঁটি স্থাপন করেছিল।
এছাড়াও তারা নিজেদের জন্য প্রত্যেকটি উঁচু পাহাড়ে ও ডালপালা মেলে ধরা গাছের নিচে দেবতাদের পীঠস্থান, পবিত্র পাথর ও আশেরার খুঁটি খাড়া করল।
24 ২৪ এমন কি, তাদের দেশে পুরুষ বেশ্যাও ছিল। যে জাতিগুলোকে সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের সামনে থেকে দূর করে দিয়েছিলেন তাদের সমস্ত ঘৃণার কাজ যিহূদার লোকেরা করতে লাগল।
এমনকি দেশের মন্দিরগুলিতে দেবদাস ও দেবদাসীরা ছিল; প্রজারা অন্যান্য জাতিভুক্ত সেইসব লোকের মতোই সব ধরনের ঘৃণ্য কাজকর্মে লিপ্ত হল, যাদের সদাপ্রভু ইস্রায়েলীদের সামনে থেকে এক সময় তাড়িয়ে দিলেন।
25 ২৫ রাজা রহবিয়ামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে মিশরের রাজা শীশক যিরূশালেম আক্রমণ করলেন।
রাজা রহবিয়ামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে মিশরের রাজা শীশক জেরুশালেম আক্রমণ করলেন।
26 ২৬ সে সদাপ্রভুর গৃহের সম্পত্তি ও রাজবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে গেল; সব কিছুই নিয়ে গেল, এমন কি, শলোমনের তৈরী সোনার সব ঢালগুলোও নিয়ে গেল।
তিনি সদাপ্রভুর মন্দিরের ও রাজপ্রাসাদের ধনসম্পদ তুলে নিয়ে গেলেন। শলোমনের তৈরি করা সোনার সব ঢাল সমেত তিনি সবকিছু নিয়ে চলে গেলেন।
27 ২৭ কাজেই রাজা রহবিয়াম সেগুলোর বদলে পিতলের ঢাল তৈরী করালেন। রাজবাড়ীর দরজায় যে সব সৈন্যেরা পাহারা দিত তাদের সেনাপতিদের কাছে তিনি সেগুলো রক্ষা করবার ভার দিলেন।
তাই সেগুলির পরিবর্তে রাজা রহবিয়াম ব্রোঞ্জের কয়েকটি ঢাল তৈরি করলেন এবং যারা রাজপ্রাসাদের সিংহদুয়ারে মোতায়েন ফৌজি পাহারাদারদের সেনাপতি ছিলেন, তাদের হাতে সেগুলি তুলে দিলেন।
28 ২৮ রাজা যখন সদাপ্রভুর ঘরে যেতেন তখন পাহারাদার সৈন্যেরা সেই ঢালগুলো ধরে নিয়ে তাঁর সঙ্গে যেত এবং পরে সেগুলো তারা পাহারাদার দের ঘরে জমা দিত।
যখনই রাজা সদাপ্রভুর মন্দিরে যেতেন, ফৌজি পাহারাদাররাও সেই ঢালগুলি বহন করে নিয়ে যেত, এবং পরে তারা আবার সেগুলি ফৌজি পাহারাদারদের কক্ষে ফিরিয়ে নিয়ে যেত।
29 ২৯ রহবিয়ামের অন্যান্য কাজ, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন তা সব “যিহূদার রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
রহবিয়ামের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, ও তিনি যা যা করলেন, সেসব কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?
30 ৩০ রহবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে অনবরত যুদ্ধ চলত।
রহবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে অনবরত যুদ্ধ লেগেই ছিল।
31 ৩১ পরে রহবিয়াম নিজের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রিত হলেন এবং দায়ূদ শহরে কবর প্রাপ্ত হলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল নয়মা; তিনি অম্মোনীয়া। পরে তাঁর ছেলে অবিয়াম তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
আর রহবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং দাউদ-নগরে তাদের কাছেই তাঁকে কবর দেওয়া হল। তাঁর মায়ের নাম নয়মা; তিনি একজন অম্মোনীয়া। পরে তাঁর ছেলে অবিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

< প্রথম রাজাবলি 14 >