< যাত্রাপুস্তক 2 >

1 আর লেবির বংশের এক পুরুষ গিয়ে এক লেবীয় মেয়েকে বিয়ে করলেন।
و شخصی از خاندان لاوی رفته، یکی ازدختران لاوی را به زنی گرفت.۱
2 আর সেই স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে একটি ছেলের জন্ম দিলেন ও শিশুটিকে সুন্দর দেখে তিন মাস লুকিয়ে রাখলেন।
و آن زن حامله شده، پسری بزاد. و چون او را نیکومنظردید، وی را سه ماه نهان داشت.۲
3 পরে আর লুকাতে না পেরে তিনি এক নলের ঝুড়ি নিয়ে পিচ তেল ও আলকাতরা মাখিয়ে তার মধ্যে ছেলেটিকে রাখলেন ও নদীর তীরে নলবনে সেটি রাখলেন।
و چون نتوانست او را دیگر پنهان دارد، تابوتی از نی برایش گرفت، و آن را به قیر و زفت اندوده، طفل را در آن نهاد، وآن را در نیزار به کنار نهر گذاشت.۳
4 আর তার কি দশা হয়, তা দেখবার জন্য তার দিদি দূরে দাঁড়িয়ে থাকলো।
و خواهرش ازدور ایستاد تا بداند او را چه می‌شود.۴
5 পরে ফরৌণের মেয়ে স্নানের জন্য নদীতে আসলেন এবং তাঁর সঙ্গীরা নদীর তীরে বেড়াচ্ছিল; আর তিনি নল বনের মধ্যে ঐ ঝুড়ি দেখে তাঁর দাসীকে সেটা আনতে পাঠালেন।
و دخترفرعون برای غسل به نهر فرود آمد. و کنیزانش به کنار نهر می‌گشتند. پس تابوت را در میان نیزاردیده، کنیزک خویش را فرستاد تا آن را بگیرد.۵
6 তারপর ঝুড়ি খুলে শিশুটিকে দেখলেন যে, ছেলেটি কাঁদছে; তার প্রতি তিনি দয়া দেখিয়ে বললেন, “এটা ইব্রীয়দের ছেলে।”
وچون آن را بگشاد، طفل را دید و اینک پسری گریان بود. پس دلش بر وی بسوخت و گفت: «این از اطفال عبرانیان است.»۶
7 তখন তার দিদি ফরৌণের মেয়েকে বলল, “আমি গিয়ে কি আপনার জন্য এই ছেলেকে দুধ দেবার জন্য একটি ইব্রীয় স্ত্রীলোককে আপনার কাছে ডেকে আনব?”
و خواهر وی به دخترفرعون گفت: «آیا بروم و زنی شیرده را از زنان عبرانیان نزدت بخوانم تا طفل را برایت شیردهد؟»۷
8 ফরৌণের মেয়ে বললেন, “যাও।” তখন সেই মেয়েটি গিয়ে ছেলেটির মাকে ডেকে আনল।
دختر فرعون به وی گفت: «برو.» پس آن دختر رفته، مادر طفل را بخواند.۸
9 ফরৌণের মেয়ে তাঁকে বললেন, “তুমি এই ছেলেটিকে নিয়ে আমার হয়ে দুধ পান করাও; আমি তোমাকে বেতন দেব।” তাতে সেই স্ত্রী ছেলেটিকে নিয়ে দুধ পান করাতে লাগলেন।
و دختر فرعون گفت: «این طفل را ببر و او را برای من شیر بده ومزد تو را خواهم داد.» پس آن زن طفل رابرداشته، بدو شیر می‌داد.۹
10 ১০ পরে ছেলেটি বড় হলে তিনি তাকে নিয়ে ফরৌণের মেয়েকে দিলেন; তাতে সে তাঁরই ছেলে হল; আর তিনি তার নাম মোশি [টানিয়া তোলা] রাখলেন, কারণ তিনি বললেন, “আমি তাকে জল থেকে টেনে তুলেছি।”
و چون طفل نموکرد، وی را نزد دختر فرعون برد، و او را پسر شد. و وی را موسی نام نهاد زیرا گفت: «او را از آب کشیدم.»۱۰
11 ১১ যখন মোশি বড় হলেন, তিনি এক দিন তাঁর ভাইদের কাছে গিয়ে তাদের কঠিন পরিশ্রম দেখতে লাগলেন; আর তিনি দেখলেন, একজন মিশরীয় একজন ইব্রীয়কে, তাঁর ভাইদের মধ্যে এক জনকে মারছে।
و واقع شد در آن ایام که چون موسی بزرگ شد، نزد برادران خود بیرون آمد، و به‌کارهای دشوار ایشان نظر انداخته، شخصی مصری را دیدکه شخصی عبرانی را که از برادران او بود، می‌زند.۱۱
12 ১২ তখন তিনি এদিক ওদিক চেয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে ঐ মিশরীয়কে হত্যা করে বালির মধ্যে পুঁতে রাখলেন।
پس به هر طرف نظر افکنده، چون کسی را ندید، آن مصری را کشت، و او را در ریگ پنهان ساخت.۱۲
13 ১৩ পরের দিন তিনি বাইরে গিয়ে দেখলেন, দুইজন ইব্রীয় একে অপরের সঙ্গে মারপিট করছে; তিনি দোষী ব্যক্তিকে বললেন, “তোমার ভাইকে কেন মারছ?”
و روز دیگر بیرون آمد، که ناگاه دومرد عبرانی منازعه می‌کنند، پس به ظالم گفت: «چرا همسایه خود را می‌زنی.»۱۳
14 ১৪ সে বলল, “তোমাকে শাসনকর্ত্তা ও বিচারকর্ত্তা করে আমাদের উপরে কে নিযুক্ত করেছে? তুমি যেমন সেই মিশরীয়কে হত্যা করেছে, সেইভাবে কি আমাকেও হত্যা করতে চাও?” তখন মোশি ভয় পেয়ে বললেন, “কথাটা তাহলে জানাজানি হয়ে গেছে?”
گفت: «کیست که تو را بر ما حاکم یا داور ساخته است، مگر تومی خواهی مرا بکشی چنانکه آن مصری راکشتی؟» پس موسی ترسید و گفت: «یقین این امرشیوع یافته است.»۱۴
15 ১৫ তারপর ফরৌণ এই কথা শুনে মোশিকে হত্যা করতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু মোশি ফরৌণের সামনে থেকে পালিয়ে গেলেন এবং মিদিয়ন দেশে বাস করতে গেলেন, সেখানে একটি কুয়োর কাছে এসে বসলেন।
و چون فرعون این ماجرا رابشنید، قصد قتل موسی کرد، و موسی از حضورفرعون فرار کرده، در زمین مدیان ساکن شد. و برسر چاهی بنشست.۱۵
16 ১৬ মিদিয়নীয় যাজকের সাতটি মেয়ে ছিল; তারা সেখানে এসে বাবার ভেড়ার পাল কে জল পান করাবার জন্য জল তুলে পাত্রগুলি ভর্তি করল।
و کاهن مدیان را هفت دختر بود که آمدند و آب کشیده، آبخورها را پرکردند، تا گله پدر خویش را سیراب کنند.۱۶
17 ১৭ তখন ভেড়ার পালকেরা এসে তাদেরকে তাড়িয়ে দিল, কিন্তু মোশি উঠে তাদের সাহায্য করলেন ও তাদের ভেড়ার পাল কে জল পান করালেন।
وشبانان نزدیک آمدند، تا ایشان را دور کنند. آنگاه موسی برخاسته، ایشان را مدد کرد، و گله ایشان راسیراب نمود.۱۷
18 ১৮ পরে তারা তাদের বাবা রূয়েলের কাছে গেলে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আজ তোমরা কি করে এত তাড়াতাড়ি আসলে?”
و چون نزد پدر خود رعوئیل آمدند، او گفت: «چگونه امروز بدین زودی برگشتید؟»۱۸
19 ১৯ তারা বলল, “একজন মিশরীয় আমাদেরকে ভেড়ার পালকদের হাত থেকে উদ্ধার করলেন, আর তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট জল তুলে ভেড়ার পাল কে জল পান করালেন।”
گفتند: «شخصی مصری ما را ازدست شبانان رهایی داد، و آب نیز برای ما کشیده، گله را سیراب نمود.»۱۹
20 ২০ তখন তিনি তাঁর মেয়েদেরকে বললেন, “সে লোকটি কোথায়? তোমরা তাঁকে ছেড়ে কেন আসলে? তাঁকে ডাক; তিনি আহার করুন।”
پس به دختران خودگفت: «او کجاست؟ چرا آن مرد را ترک کردید؟ وی را بخوانید تا نان خورد.»۲۰
21 ২১ পরে মোশি ঐ ব্যক্তির সঙ্গে থাকতে রাজি হলেন, আর তিনি মোশির সঙ্গে নিজের মেয়ে সিপ্পোরার বিয়ে দিলেন।
و موسی راضی شد که با آن مرد ساکن شود، و او دختر خود، صفوره را به موسی داد.۲۱
22 ২২ পরে ঐ স্ত্রী ছেলের জন্ম দিলেন, আর মোশি তার নাম গের্শোম [তত্রপ্রবাসী] রাখলেন, কারণ তিনি বললেন, “আমি বিদেশে প্রবাসী হয়েছি।”
و آن زن پسری زایید، و (موسی ) او را جرشون نام نهاد، چه گفت: «در زمین بیگانه نزیل شدم.»۲۲
23 ২৩ অনেক কাল পরে মিশরের রাজার মৃত্যু হল। ইস্রায়েলীয়রা তাদের দাসত্বের যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠলো, বন্দীদশায় তারা সাহায্যের জন্য কাঁদলো, আর তাদের প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছালো।
و واقع شد بعد از ایام بسیار که پادشاه مصربمرد، و بنی‌اسرائیل به‌سبب بندگی آه کشیده، استغاثه کردند، و ناله ایشان به‌سبب بندگی نزد خدا برآمد.۲۳
24 ২৪ আর ঈশ্বর তাদের আর্তনাদ শুনলেন এবং অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের সঙ্গে করা তাঁর নিয়ম স্মরণ করলেন;
و خدا ناله ایشان را شنید، و خداعهد خود را با ابراهیم و اسحاق و یعقوب بیادآورد.۲۴
25 ২৫ তার ফলে ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের দিকে তাকালেন; আর তিনি তাদের অবস্থা বুঝলেন।
و خدا بر بنی‌اسرائیل نظر کرد و خدادانست.۲۵

< যাত্রাপুস্তক 2 >