< যিহোশূয়ের বই 24 >

1 যিহোশূয় ইস্রায়েলের সমস্ত বংশকে শিখি মে একত্র করলেন ও ইস্রায়েলের প্রাচীনবর্গ, নেতাদের, বিচারকর্তাদের ও শাসকদের ডাকলেন, তাতে তাঁরা ঈশ্বরের সামনে উপস্থিত হলেন।
পরে যিহোশূয় ইস্রায়েলের সমস্ত গোষ্ঠীকে শিখিমে একত্রিত করলেন। তিনি ইস্রায়েলের প্রাচীনদের, নেতাদের, বিচারকদের ও কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠালেন ও তাঁরা সকলে নিজেদের ঈশ্বরের সামনে উপস্থিত করলেন।
2 তখন যিহোশূয় সমস্ত লোককে বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন, অতীতে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা, অব্রাহামের পিতা ও নাহোরের পিতা তেরহ [ফরাৎ] নদীর ওপারে বাস করতেন; আর তারা অন্য দেবতাদের সেবা করতেন।”
যিহোশূয় সমস্ত লোককে বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন: ‘বহুপূর্বে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা এবং অব্রাহামের ও নাহোরের বাবা তেরহও ইউফ্রেটিস নদীর অপর পারে বসবাস করতেন ও বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো করতেন।
3 পরে আমি তোমাদের পিতা অব্রাহামকে সেই নদীর ওপার থেকে এনে কনান দেশের সব জায়গায় ভ্রমণ করালাম এবং তার বংশ বৃদ্ধি করলাম, আর তাকে ইসহাককে দিলাম।
কিন্তু আমি তোমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহামকে সেই নদীর ওপার থেকে নিয়ে এসে সমস্ত কনান দেশে চালিত করলাম ও তাঁকে বহু বংশধর দিলাম। আমি তাকে দিলাম ইস্‌হাককে,
4 আর আমি এষৌকে অধিকার করার জন্য সেয়ীর পর্বত দিলাম; কিন্তু যাকোব ও তার সন্তানেরা মিশরে নেমে গেল।
আবার ইস্‌হাককে দিলাম যাকোব ও এষৌকে। আমি সেয়ীরের পার্বত্য প্রদেশ এষৌকে দিলাম, কিন্তু যাকোব ও তার ছেলেরা মিশরে নেমে গেল।
5 পরে আমি মোশি ও হারোণকে পাঠালাম এবং মিশরের মধ্যে যে কাজ করেছিলাম, তার মাধ্যমে সেই দেশকে শাস্তি দিলাম; তারপরে তোমাদেরকে বার করে আনলাম।
“‘পরে আমি মোশি ও হারোণকে পাঠালাম, ও আমি সেখানে যে কাজ করলাম, তার দ্বারা মিশরীয়দের ক্লেশ দিলাম ও আমি তোমাদের বের করে আনলাম।
6 আমি মিশর থেকে তোমাদের পূর্বপুরুষদের বার করার পর তোমরা সমুদ্রের কাছে উপস্থিত হলে; তখন মিস্রীয়রা অনেক রথ ও অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে সূফসাগর (লোহিত সাগর) পর্যন্ত তোমাদের পূর্বপুরুষদের পেছনে অনুসরণ করার জন্য এল।
তোমাদের পূর্বপুরুষদের আমি যখন মিশর থেকে বের করে আনলাম, তোমরা সমুদ্রের কাছে এলে এবং মিশরীয়রা বহু রথ ও অশ্বারোহী নিয়ে লোহিত সাগর পর্যন্ত তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে এল।
7 তাতে তারা সদাপ্রভুর কাছে কাঁদল ও তিনি মিস্রীয়দের ও তোমাদের মধ্যে অন্ধকার স্থাপন করলেন এবং তাদের উপরে সমুদ্রকে এনে তাদের আচ্ছন্ন করলেন; আমি মিশরে কি করেছি, তা তোমরা নিজেদের চোখে দেখেছ; পরে অনেকদিন মরুপ্রান্তে বাস করলে।
কিন্তু ইস্রায়েলীরা সাহায্যের জন্য সদাপ্রভুর কাছে কাঁদল এবং সদাপ্রভু তোমাদের ও মিশরীয়দের মধ্যে অন্ধকার নিয়ে এলেন; তিনি সমুদ্রকে তাদের উপরে নিয়ে এসে তাদের জলে আবৃত করলেন। মিশরীয়দের প্রতি আমি কী করেছিলাম, তা তোমরা নিজেদের চোখে দেখেছ। পরে দীর্ঘ সময় তোমরা মরুপ্রান্তরে বসবাস করলে।
8 তারপর আমি তোমাদের যর্দ্দনের অন্য পারে বসবাসকারী ইমোরীয়দের দেশে নিয়ে গেলাম; তারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করল; আর আমি তোমাদের হাতে তাদেরকে সমর্পণ করলাম, তাতে তোমরা তাদের দেশ অধিকার করলে; এই ভাবে আমি তোমাদের সামনে থেকে তাদেরকে ধ্বংস করলাম।
“‘আমি তোমাদের সেই ইমোরীয়দের দেশে নিয়ে এলাম, যারা জর্ডন নদীর পূর্বদিকে বসবাস করত। তারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে আমি তাদের তোমাদের হাতে সমর্পণ করলাম। আমি তোমাদের সামনে থেকে তাদের ধ্বংস করলাম এবং তোমরা তখন তাদের দেশের দখল নিলে।
9 পরে সিপ্পোরের ছেলে মোয়াবরাজ বালাক উঠে ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করল এবং লোক পাঠিয়ে তোমাদেরকে শাপ দেওয়ার জন্য বিয়োরের পুত্র বিলিয়মকে ডেকে আনল।
যখন সিপ্পোরের ছেলে মোয়াবের রাজা বালাক ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হল, সে বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকে পাঠাল, যেন সে তোমাদের অভিশাপ দেয়।
10 ১০ কিন্তু আমি বিলিয়মের কথা শুনতে অসম্মত হলাম, তাতে সে তোমাদেরকে শুধু আশীর্বাদই করল; এই ভাবে আমি তার হাত থেকে তোমাদেরকে উদ্ধার করলাম।
কিন্তু আমি বিলিয়মের কথা শুনলাম না। তাই সে বারবার তোমাদের আশীর্বাদ দিল এবং আমি বালাকের হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করলাম।
11 ১১ পরে তোমরা যর্দ্দন পার হয়ে যিরীহোতে উপস্থিত হলে; আর যিরীহোর লোকেরা, ইমোরীয়, পরিষীয়, কনানীয়, হিত্তীয়, গির্গাশীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়েরা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করল, আর আমি তোমাদের হাতে তাদেরকে সমর্পণ করলাম।
“‘পরে তোমরা জর্ডন নদী অতিক্রম করে যিরীহোতে এলে। যিরীহোর লোকেরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল, যেমন করল ইমোরীয়, পরিষীয়, কনানীয়, হিত্তীয়, গির্গাশীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়েরা, কিন্তু তাদের আমি তোমাদের হাতে সমর্পণ করলাম।
12 ১২ আর তোমাদের আগে আগে ভিমরুল পাঠালাম; তারা তোমাদের সামনে থেকে সেই জনগণকে, ইমোরীয়দের সেই দুই রাজাকে দূর করে দিল; তোমার তরোয়াল বা ধনুকে তা হয়নি।
আমি তোমাদের আগে আগে ভিমরুল পাঠালাম, যারা তোমাদের সামনে থেকে তাদের তাড়িয়ে দিল—সেই সঙ্গে ইমোরীয়দের দুই রাজাকেও তাড়ালো। তোমরা নিজেদের তরোয়াল ও তিরধনুক নিয়ে তা করোনি।
13 ১৩ আর তোমরা যে জায়গায় পরিশ্রম কর নি, এমন এক দেশ ও যার স্থাপন কর নি, এমন অনেক নগর আমি তোমাদেরকে দিলাম; তোমরা সেখানে বাস করছ; তোমরা যে আঙ্গুর গাছ ও জিতবৃক্ষ (অলিভ গাছ) রোপণ কর নি, তার ফল ভোগ করছ।
তাই আমি তোমাদের এমন এক দেশ দিলাম, যার জন্য তোমরা পরিশ্রম করোনি এবং এমন সব নগর দিলাম, যেগুলি তোমরা নির্মাণ করোনি; তোমরা সেগুলিতে বসবাস করছ এবং যে দ্রাক্ষালতা ও জলপাই গাছ তোমরা রোপণ করোনি, তার ফল তোমরা ভোগ করছ।’
14 ১৪ অতএব এখন তোমরা সদাপ্রভুকে ভয় কর, সরলতায় ও সত্যে তাঁর সেবা কর, আর তোমাদের পূর্বপুরুষেরা [ফরাৎ] নদীর পরপারে ও মিশরে যে দেবতাদের সেবা করত, তাদেরকে দূর করে দাও এবং সদাপ্রভুর সেবা কর।
“এখন তোমরা সদাপ্রভুকে ভয় করো এবং সম্পূর্ণ বিশ্বস্ততার সঙ্গে তাঁর সেবা করো। ইউফ্রেটিস নদীর ওপারে এবং মিশরে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যেসব দেবদেবীর আরাধনা করতেন, সেগুলি তোমরা ছুঁড়ে ফেলে দাও ও সদাপ্রভুর সেবা করো।
15 ১৫ যদি সদাপ্রভুর সেবা করা তোমাদের মন্দ বোধ হয়, তবে যার সেবা করবে, তাকে আজ মনোনীত কর; (ফরাৎ) নদীর ওপারে (পরপারে) তোমাদের পূর্বপুরুষদের (পিতা) সেবিত দেবতারা হয় হোক, কিম্বা যাদের দেশে তোমরা বাস করছ, সেই ইমোরীয়দের দেবতারা হয় হোক; কিন্তু আমি ও আমার পরিবার আমরা সদাপ্রভুর সেবা করব।
কিন্তু যদি সদাপ্রভুর সেবা করতে তোমরা অনিচ্ছুক হও, তবে আজই তোমরা বেছে নাও কার সেবা করবে, তা সে ইউফ্রেটিস নদীর অপর পারে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যেসব দেবদেবীর সেবা করত তাদের, না সেই ইমোরীয়দের সব দেবদেবীর, যাদের দেশে তোমরা বসবাস করছ, তাদের। কিন্তু আমি ও আমার পরিজন, আমরা সকলে সদাপ্রভুর সেবা করব।”
16 ১৬ লোকেরা এর উত্তরে বলল, “আমরা যে সদাপ্রভুকে ত্যাগ করে অন্য দেবতাদের সেবা করব, তা দূরে থাকুক।
তখন লোকেরা উত্তর দিল, “আমরা সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করে অন্যান্য দেবদেবীর সেবা করব, তা যেন কখনও না হয়!
17 ১৭ কারণ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তিনিই আমাদের ও আমাদের পূর্বপুরুষদের (পিতা) মিশর দেশ থেকে, দাসত্বের-বাড়ি থেকে, বার করে নিয়ে এসেছেন ও আমাদের চোখের সামনে সেই সমস্ত আশ্চর্য্য চিহ্ন-কাজ করেছেন এবং আমরা যে পথে এসেছি, সেই সমস্ত পথে ও যে সমস্ত জাতির মধ্য দিয়ে এসেছি, তাদের মধ্যে আমাদের রক্ষা করেছেন;
আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু স্বয়ং আমাদের ও আমাদের পূর্বপুরুষদের মিশর থেকে, সেই ক্রীতদাসত্বের দেশ থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন এবং আমাদের চোখের সামনে ওইসব মহৎ চিহ্নকাজ সম্পন্ন করেছিলেন। আমাদের সমস্ত যাত্রাপথে ও যে সমস্ত জাতির মধ্যে দিয়ে আমরা পথ অতিক্রম করেছিলাম, তিনি আমাদের সুরক্ষা দিয়েছিলেন।
18 ১৮ আর সদাপ্রভু এই দেশে বসবাসকারী ইমোরীয় প্রভৃতি সমস্ত জাতিকে আমাদের সামনে থেকে দূর করে দিয়েছেন; অতএব আমরাও সদাপ্রভুর সেবা করব; কারণ তিনিই আমাদের ঈশ্বর।”
আর সদাপ্রভু আমাদের সামনে থেকে সব জাতিকে বিতাড়িত করলেন, ইমোরীয়দেরও করলেন, যারা এই দেশে বসবাস করত। আমরাও সদাপ্রভুর সেবা করব, কারণ তিনি আমাদের ঈশ্বর।”
19 ১৯ যিহোশূয় লোকদেরকে বললেন, “তোমরা সদাপ্রভুর সেবা করতে পার না; কারণ তিনি পবিত্র ঈশ্বর, নিজের গৌরব রক্ষা করতে উদ্যোগী ঈশ্বর; তিনি তোমাদের অধর্ম্ম ও পাপ ক্ষমা করবেন না।
যিহোশূয় লোকদের বললেন, “তোমরা সদাপ্রভুর সেবা করতে পারবে না। তিনি পবিত্র ঈশ্বর; তিনি ঈর্ষাপরায়ণ ঈশ্বর। তিনি তোমাদের বিদ্রোহ ও পাপ ক্ষমা করবেন না।
20 ২০ তোমরা যদি সদাপ্রভুকে ত্যাগ করে অন্য জাতীর দেবতাদের সেবা কর, তবে আগে তোমাদের মঙ্গল করলেও তিনি পিছন ফিরে দাঁড়াবেন, তোমাদের অমঙ্গল করবেন ও তোমাদেরকে ধ্বংস করবেন।”
তোমরা যদি সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করো ও বিজাতীয় দেবদেবীর সেবা করো, তিনি আগে তোমাদের মঙ্গলসাধন করলেও, পরে তোমাদের প্রতি বিমুখ হয়ে তোমাদের উপরে বিপর্যয় নিয়ে আসবেন ও তোমাদের সংহার করবেন।”
21 ২১ তখন লোকেরা যিহোশূয়কে বলল, “না, আমরা সদাপ্রভুরই সেবা করব।”
কিন্তু লোকেরা যিহোশূয়কে বলল, “না! আমরা সদাপ্রভুরই সেবা করব।”
22 ২২ যিহোশূয় লোকদেরকে বললেন, “তোমরা তোমাদের বিষয়ে নিজেরাই সাক্ষী হলে যে, তোমরা সদাপ্রভুর সেবা করার জন্য তাঁকেই মনোনীত করেছ।” তারা বলল, “সাক্ষী হলাম।”
তখন যিহোশূয় বললেন, “তোমরা নিজেদেরই বিপক্ষে নিজেরা সাক্ষী যে, তোমরা সদাপ্রভুকে সেবা করা মনোনীত করেছ।” “হ্যাঁ, আমরা সাক্ষী,” তারা উত্তর দিল।
23 ২৩ [তিনি বললেন, ] “তবে এখন তোমাদের মধ্য অবস্থিত অন্য জাতীর দেবতাদের দূর করে দাও ও তোমাদের হৃদয় ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে রাখ।”
যিহোশূয় বললেন, “তবে এখন তোমাদের মধ্যে যেসব বিজাতীয় দেবদেবীর মূর্তি আছে সেগুলি ছুঁড়ে ফেলো এবং তোমাদের হৃদয়, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে সমর্পণ করো।”
24 ২৪ তখন লোকেরা যিহোশূয়কে বলল, “আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুরই সেবা করব ও তাঁর কথা শুনব।”
আর লোকেরা যিহোশূয়কে বলল, “আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করব ও তাঁর আদেশ পালন করব।”
25 ২৫ তাতে যিহোশূয় সেই দিন লোকদের সঙ্গে নিয়ম স্থাপন করলেন, তিনি শিখিমে তাদের জন্য বিধি ব্যবস্থা ও শাসন স্থাপন করলেন।
সেদিন যিহোশূয় লোকদের জন্য একটি নিয়ম স্থির করলেন, ও সেখানে, ওই শিখিমে তিনি লোকদের পালন করার জন্য বিধিনিয়ম ও বিধান পুনঃস্থাপন করলেন।
26 ২৬ পরে যিহোশূয় ঐ সমস্ত কথা ঈশ্বরের ব্যবস্থাগ্রন্থে লিখলেন এবং একটি বড় পাথর নিয়ে সদাপ্রভুর পবিত্র-স্থানের কাছে এলা গাছের তলায় স্থাপন করলেন।
আর যিহোশূয় এসব বিষয় ঈশ্বরের বিধানপুস্তকে নথিভুক্ত করলেন। পরে তিনি এক বিশাল বড়ো পাথর নিয়ে, সদাপ্রভুর পবিত্রস্থানের কাছে একটি ওক গাছের নিচে রেখে দিলেন।
27 ২৭ পরে যিহোশূয় সমস্ত লোককে বললেন, “দেখ, এই পাথরটি আমাদের বিষয়ে সাক্ষী হবে; কারণ সদাপ্রভু আমাদের যে যে কথা বলেছিলেন, তাঁর সেই সমস্ত কথা এ শুনল; অতএব এ তোমাদের বিষয়ে সাক্ষী হবে, ফলে তোমরা তোমাদের ঈশ্বরকে অস্বীকার কর।”
তিনি সমস্ত লোককে বললেন, “দেখো, এই পাথরটি আমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে। সদাপ্রভু যেসব কথা আমাদের বলেছেন, সেগুলি এটি শুনেছে। তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বরকে দেওয়া কথা থেকে পিছিয়ে যাও, তবে এই পাথরটি তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।”
28 ২৮ পরে যিহোশূয় লোকদেরকে নিজের নিজের অধিকারে বিদায় করলেন।
পরে যিহোশূয় তাদের নিজের নিজের অধিকারে যাওয়ার জন্য বিদায় দিলেন।
29 ২৯ এই সমস্ত ঘটনার পরে নূনের পুত্র, সদাপ্রভুর দাস যিহোশূয় একশ দশ বছর বয়সে মারা গেলেন।
এসব ঘটনার পরে, সদাপ্রভুর দাস, নূনের ছেলে যিহোশূয়, 110 বছর বয়সে মারা গেলেন।
30 ৩০ পরে লোকেরা গাশ পর্বতের উত্তরে ইফ্রয়িমের পাহাড়ি অঞ্চলে তিন্নৎ-সেরহে তাঁর অধিকারের অঞ্চলে তাঁর কবর দিল।
লোকেরা তাঁকে তাঁর নিজের অধিকারের দেশে, গাশ পর্বতের উত্তর দিকে, ইফ্রয়িমের পাহাড়ি অঞ্চলে, তিম্নৎ-সেরহে কবর দিল।
31 ৩১ যিহোশূয়ের সমস্ত জীবনকালে এবং যে প্রাচীনেরা যিহোশূয়ের মৃত্যুর পরে জীবিত ছিলেন ও ইস্রায়েলের জন্য সদাপ্রভুর করা সমস্ত কাজ দেখেছিলেন, তাঁদেরও সমস্ত জীবনকালে ইস্রায়েল সদাপ্রভুর সেবা করল।
ইস্রায়েল যিহোশূয়ের জীবনকালে ও সেইসব প্রাচীনের জীবনকালে আগাগোড়াই সদাপ্রভুর সেবা করল, যারা যিহোশূয়ের মৃত্যুর পরও জীবিত ছিলেন ও ইস্রায়েলের জন্য সদাপ্রভু যেসব মহান কাজ করেছিলেন, সেগুলি সব প্রত্যক্ষ করেছিলেন।
32 ৩২ আর ইস্রায়েল-সন্তানেরা যোষেফের হাড়, যা মিশর থেকে এনেছিল, তা শিখিমে সেই মাটিতে পুঁতে দিল, যা যাকোব একশ রৌপ্য-মুদ্রায় শিখিমের পিতা হমোরের সন্তানদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন; আর তা যোষেফ-সন্তানদের অধিকার হল।
আর যোষেফের অস্থি, যেগুলি ইস্রায়েলীরা মিশর থেকে নিয়ে এসেছিল, তা লোকেরা শিখিমে সেই জমিখণ্ডে কবর দিল, যা যাকোব শিখিমের বাবা হমোরের ছেলেদের কাছ থেকে একশো রৌপ্যমুদ্রা দিয়ে কিনেছিলেন। এটি যোষেফের বংশধরদের অধিকার হয়ে রইল।
33 ৩৩ পরে হারোণের ছেলে ইলীয়াসর মারা গেলেন; আর লোকেরা তাঁকে তাঁর পুত্র পীনহসের পাহাড়ে কবর দিল, ইফ্রয়িমের পাহাড়ি অঞ্চলের সেই পাহাড় তাঁকে যা দেওয়া হয়েছিল।
আর হারোণের ছেলে ইলীয়াসরেরও মৃত্যু হল ও তাঁকে গিবিয়াতে কবর দেওয়া হল। এই স্থানটি ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশে, তাঁর ছেলে পীনহসকে দেওয়া হয়েছিল।

< যিহোশূয়ের বই 24 >